বিয়ের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সোনিয়া আক্তার (২২) নামে এক কলেজশিক্ষার্থীকে প্রকাশ্যে ছুরিকাঘাত করার অভিযোগ ওঠেছে তানভীর নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে।
শনিবার বিকেলে পৌরশহরের কালিবাড়ি মোড়ের দন্ত চিকিৎসালয় জে এস জে ডেন্টাল পয়েন্টে এ ঘটনা ঘটে। আহত সোনিয়াকে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সোনিয়া জেলার নবীনগর উপজেলার শিবপুর গ্রামের মলাই মিয়ার মেয়ে। আর তানভীর পৌরশহরের মৌবাগের মিজানুর রহমানের ছেলে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার চিনাইর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব অনার্স কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী সোনিয়া লেখাপড়ার পাশাপাশি ওই দন্ত চিকিৎসালয়ে চাকরি করতেন।
সোনিয়ার পরিবারের সদস্যরা জানান, গেলো দেড় বছর আগে ফেসবুকে তানভীরের সঙ্গে পরিচয় হয় তার। তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। একপর্যায়ে তানভীর বিয়ের প্রস্তাব দিলে বিষয়টি পরিবারকে জানান সোনিয়া। তবে তানভীরের স্বভাব-চরিত্র ভালো না হওয়ায় সোনিয়ার বাবা বিয়ের প্রস্তাব নাকচ করে দেন।
তাদের দাবি, সোনিয়া পরিবারের সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে তানভীরের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেন। তবে তানভীর প্রায়ই তাকে উত্ত্যক্ত করতো।
উত্ত্যক্তের বিষয়টি তানভীরের পরিবারকে জানালে শনিবার বিকেলে কালিবাড়ি মোড়ে জে এস জে ডেন্টাল পয়েন্টে এসে সোনিয়ার মাথা ও বাম হাতে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যান তানভীর। পরে স্থানীয়রা সোনিয়াকে উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।
হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. শাখাওয়াত হোসেন জানান, সোনিয়ার অবস্থা আশঙ্কাজনক। ছুরিকাঘাতে তার হাত ও মুখ থেকে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয়েছে। তাই উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে বলেও তিনি জানান।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ওসি মো. নবীর হোসেন বলেন, ঘটনাটি আমরা শুনেছি। তানভীরকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
কে/এসএস